জিএম আইটি মূলত একটি আইটি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালে ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও ২০১৯ সাল হতে বিনা বিনিয়োগে অথবা অল্প বিনিয়োগে কিভাবে উদ্যোক্তা হওয়া যায়, সেই বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেন। এজন্য সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী এবং বাস্তবমুখী কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জিএম আইটি। ইতোমধ্যে প্রায় ৪০,০০০ এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান হতে ফ্রিল্যান্সিং এবং উদ্যোক্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে এবং প্রায় ৫০০০ এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী কর্মে নিয়োজিত আছে এবং চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। নিত্যনতুন পন্থায় কিভাবে এদেশের বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে জিএম আইটি।
ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে মুক্ত পেশা, মূলত ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে যখন কোন ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কাজ না করে চুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাজ করে থাকেন। একজন ফ্রিল্যান্সারের যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারণের স্বাধীনতা, তেমনি রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। গতানুগতিক অফিস সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারগণ সীমাবদ্ধ নয়। তারা তাদের সুবিধামাফিক সময়ে বাংলাদেশে বসে ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে আইটি ভিত্তিক কাজ করে থাকেন বা সার্ভিস দিয়ে থাকেন।
১) সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য এবং নিজের ও পরিবারের স্বপ্ন পূরণের জন্য ব্যবসার কোনো বিকল্প নেই।
২) নোবেল বিজয়ী ডঃ মোঃ ইউনুস এর মতে চাকুরি হচ্ছে আধুনিক দাসত্ব এবং ব্যবসা হচ্ছে স্বাধীন পেশা অর্থাৎ কাউকে জবাবদিহিতা করতে হয় না।
৩) সময়ের স্বাধীনতা আছে, কাজেই জীবনকে উপভোগ করা যায়।
৪) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আছে, অর্থাৎ ভালো মানের অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়া গেলে প্যাসিভ ইনকাম করার বিশাল সুযোগ আছে।
৫) অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাই বলে, সমাজের জন্য এবং দেশের জন্য সেরা কিছু করার সুযোগ আছে।
৬) অফলাইন ব্যবসার চেয়ে কম সময় দিয়ে অনলাইন উদ্যোক্তারা বেশি আয় করতে পারেন।
৭) অফলাইন ব্যবসার চেয়ে কম বিনিয়োগ করে, অনলাইন উদ্যোক্তারা বেশি আয় করতে পারেন।
৮) কম বিনিয়োগ এ ব্যবসা শুরু করা যায় বলে বেকার সমস্যাগ্রস্থ এই দেশে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সেরা সুযোগ এটি।
৯) ঘরে বসে কাজটি করা যায় বলে মহিলাদের জন্য এটি শুধু সেরা সুযোগ বলবো না, বলবো সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ।
১০) সেরা একজন অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়া গেলে জীবনটাকে অনেক বেশি উপভোগ করা যায় কারণ তাদের হাতে পর্যাপ্ত সময় এবং অর্থ থাকে।
১) উদ্যোক্তা হওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামার পর যারা ব্যর্থ হয় তাদের মধ্যে অধিকাংশ বা ৮০% ব্যক্তি ব্যর্থ হয় প্রথম ছয় মাসে। এজন্য কিভাবে শুরু করতে হবে এর গাইডলাইন খুবই জরুরী যা এই প্রশিক্ষণে স্পষ্টভাবে বারে বারে বলা হয়েছে বা দেওয়া হয়েছে।
২) বিশেষ করে নতুন একজন ব্যক্তি উদ্যোক্তা হতে গেলে তাকে অনেকগুলো বিষয়ে এক্সপার্ট হতে হয়, যে দুর্বলতার কারণে অধিকাংশ উদ্যোক্তা শুরুতে ব্যর্থ হয় এরূপ ১০ টি বিষয় ধারাবাহিকভাবে এই প্রশিক্ষণে দেওয়া হয়েছে।
৩) ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার লয়ার এর ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ থাকলেও উদ্যোক্তার মত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশে তেমন কোন ইন্টার্নশিপ চালু করা হয়নি, কিন্তু জিএম আইটি প্রদত্ত প্রশিক্ষণটিতে সপ্তম পার্ট হতে নতুন ব্যক্তিদের কে প্র্যাকটিক্যালি কাজ ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং সর্বোচ্চ মনিটরিং এর মাধ্যমে কাজ কন্টিনিউ করানো হয়। ফলে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
৪) জিএম আইটি উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কোর্সে যে ১০ টি পার্ট নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এর প্রায় প্রতিটি বিষয় উদ্যোক্তা না হলেও প্রত্যাহিক জীবনে কাজে লাগবে।
৫) প্রথম থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্লাস অনুসারে শিখলে এবং কন্টিনিউ করলে উদ্যমিদের জন্য সপ্তম পার্ট থেকে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
৬) জিরো ইনভেস্টমেন্টে কাজ শুরু করার চমৎকার পরিকল্পনা এই প্রশিক্ষণটিতে রয়েছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি নেই।
৭) ১০ টি পার্ট এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বা দুইটি রপ্ত করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিং করে ও নিজের মত করে নিজে আয় করতে পারবে।
৮) সর্বোপরি একজন নতুন ব্যক্তি উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে বড় রকম ভিত্তি তৈরি হতে পারে এই প্রশিক্ষণটির মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এলএলবি এবং গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু পেশার ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ এর ব্যবস্থা থাকলেও, একজন নতুন ব্যক্তি শূন্য হতে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে ওঠার জন্য কোন ইন্টার্নশিপ এর ব্যবস্থা নেই। আমাদের দেশের সার্টিফিকেটধারী একটি বড় অংশ বা কোটির ও বেশি জনসংখ্যা বেকার। সবাই চাকুরীর আশায় থাকলে এই বেকার সমস্যার কোনভাবেই সমাধান করা সম্ভব নয় । একজন ব্যক্তি উদ্যোক্তা হয়ে উঠলে তার নেতৃত্বেই কর্মসংস্থান হতে পারে শত বা হাজারো চাকরিজীবির। বিষয়টিকে মাথায় রেখে নবীনদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো জি এম আইটি চমৎকার এবং ভিন্নধর্মী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে যাকে বলা হচ্ছে Entrepreneur Internship Course or Business Internship Course বা উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ।
বাজারে সাধারণত উদ্যোক্তা তৈরির নামে কিছু অনলাইন মার্কেটিং শিখিয়ে সার্টিফিকেট হাতে তুলে দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হয়, অতঃপর নবীনরা ভুল পণ্য সোর্সিং, সঠিক গাইড লাইনের অভাব, কাস্টমার ডিলিংস এবং কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে ব্যর্থ হয়। এতে তাদের পরিবারের কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। ফলে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায়।
জি এম আইটির Entrepreneur Internship Course or Business Internship Course বা উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কেন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম? মূলত জি এম আইটির প্র্যাক্টিক্যাল উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কোর্স - এ অনলাইন মার্কেটিং এর পাশাপাশি ইজি গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ৪০০ এর ও অধিক ফ্যাক্টরি বা শো’রুম এর প্রোডাক্ট সোর্সিং, এড সোর্সিং, বিপিও বা কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস বা কাস্টমার ডিলিংস এর পুরো প্রক্রিয়া, সার্বক্ষণিক মেন্টর এর সহযোগিতা, জিরো ইনভেস্টমেন্ট এ বিজনেস শুরু করার যাবতীয় বিষয় প্র্যাক্টিক্যালি শেখানো হয়।